শীতের শুরুতে দেশের বাজারগুলোতে দেখা মেলে নানা জাতের সবজি। সঙ্গে আলুও। দিনাজপুরে উঠতে শুরু করেছে আগাম জাতের নতুন আলু। বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা কেজি দরে।
তবে পুরোনো আলু হিমাগারে পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়ে গেছে। ফলে নতুন আলু উঠলে লোকসানের মুখে পড়ার শঙ্কা করছেন চাষিরা।
শহরের রেল বাজার, বাহাদুর বাজার, চক বাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গুটি কয়েক বিক্রেতা ৫ থেকে ১০ কেজি আগাম জাতের নতুন আলু এনেছেন। এ আলুর জাত গেনলা ও গেনলা-৭। এদিকে পুরোনো আলু ১৫ থেকে ২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। গত মৌসুমের আলু এখনও হিমাগারে রয়ে গেছে। ফলে চলতি বছর আলুর ন্যায্য দাম নিয়ে কৃষকরা চিন্তিত।
বিক্রেতারা বলছেন, নবান্ন উৎসবকে সামনে রেখেই বেশি দাম দিয়ে আলু কিনছেন ক্রেতারা। তবে সে ক্রেতার সংখ্যা খুবই নগণ্য।
এ বিষয়ে আলু চাষি মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম জানান, গত মৌসুমের আলু এখনোও হিমাগারে রয়েছে। ডিসেম্বর মাসের ১৫ তারিখের দিকে নতুন আলু উঠবে। আলুর ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে কৃষক দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
একই কথা বলেছেন কৃষক দবিরুল ইসলাম। তিনিও আগাম জাতের গেনলা আলু চাষ করেছেন। পরিমাণে খুবই কম। তবে আলুগুলো এখনও পরিপক্ব হয়নি।
কাঁচামাল ব্যবসায়ী সুকুমার জানান, বাজারে নতুন সবজি পাওয়া যাচ্ছে। অনেক চাষি আগাম জাতের গেনলা আলুর চাষ করেছেন। এই জাতের আলু চাষের প্রধান কারণ বাড়িত দামে বিক্রি। আর এবার বাজারে চাহিদার তুলনায় নতুন আলুর সরবরাহ খুবই কম। এ কারণে দাম অনেক বেশি।
এদিকে সদর উপজেলার জাহানারা কোল্ড স্টোরের মালিক জর্জিস আনম জানান, গত মৌসুমের প্রচুর পরিমাণ আলু এখনও কোল্ডস্টোরে রয়েছে। বাজারে আলুর দাম কম থাকায় কৃষকরা হিমাগার থেকে আলু বের করছেন না লোকসানের ভয়ে।
দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জানান, নতুন আলু আসতে এখনও একমাসের বেশি সময় লাগবে।